বিধানসভা নির্বাচনের দিন ১০ই মার্চ কোচবিহারের শীতলকুচির জোরপাটকিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪জনের। এরপর সেই ঘটনায় স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তৈরি করা হয়। তদন্তে নামে সিআইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তব্যরত জওয়ানদের ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় সিআইডির তরফে। কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা পুলিশ সুপার সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তলব এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এরপর ২রা ও ৩রা অগস্ট তিনজন করে মোট ৬জন জওয়ানকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠায় সিআইডি। তবে এবার সাতদিন সময় চেয়েছেন তাঁরা। ইমেইল করে সিআইডিকে জানানো হয়েছে তাঁদের সাতদিন সময় দেওয়া হোক। এদিকে সূত্রের খবর, তদন্তের জাল ক্রমেই গোটাতে শুরু করেছে সিআইডি। মাথাভাঙাতে গিয়েও তদন্তকারী আধিকারিকরা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেছেন। তবে কোন পরিস্থিতিতে সেদিন গুলি চালনা করা হয়েছিল সেটাও বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেছেন। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইছেন ঘটনার দিন জওয়ানরা কে কোথায় দায়িত্বে ছিলেন। কার্যত নথি নিয়ে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।