নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও এখনও দলের প্রতি আস্থাশীল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর পাশে দল থাকবে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।
শনিবার সকালে বিধায়ককে নিজাম প্যালেস থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যায় সিবিআই। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, 'দল অবশ্যই আমার পাশে আছে। আমি যখন কোনও অন্যায় করিনি তখন কেন পাশে থাকবে না!'
যদিও তৃণমূলের ঘোষিত অবস্থান হল, যারা অন্যায় করেছে তাদের পাশে দল থাকবে না। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যয়কে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীত্ব থেকেও। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যাকেও। কিন্তু গরুপাচার মামলায় জড়িত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল।
সেই জায়গায় জীবনকৃষ্ণ মনে করেন তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নন। তাঁর কথায়, 'প্রমাণিত হয়েছে কি যে আমি জড়িত আছি? আগে প্রমাণিত হোক।’ টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়িতে টানা দু'দিন ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পর বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দল কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না। যে যে ক্ষেত্রে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে দল কাউকে রেয়াত করেনি। কিন্তু সিবিআই তদন্ত করতে গিয়ে বিধায়কদের সামাজিকভাবে অপদস্থ করছে।'