উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস রুখতে কি প্রত্যয়ের অভাবে ভুগছে সংসদ? উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক হুলিয়ায় তেমনই মনে হচ্ছে। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, কোথাও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে তার সোর্স জানাতে হবে সাংবাদিককে। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় পুলিশ প্রশাসন সঙ্গে থাকতে সাংবাদিকের ওপর এই অনৈতিক দায় কেন ঠেলছে সংসদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে বাইরে বেরিয়ে আসা এখন প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। যদিও একে প্রশ্নফাঁস বলে মানতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তার পরেও এবার মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদ। এমনকী রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তারা। তাতেও তেমন কাজ হয়নি। নিয়ম মেনে বাইরে বেরিয়ে এসেছে অধিকাংশ প্রশ্নপত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় হলে মোবাইল ফোন ধরার জন্য মেটাল ডিটেকটর মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ গিয়েছে। কিন্তু তার পরও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে তা কোন সূত্র থেকে সাংবাদিকের কাছে পৌঁছেছে তা জানাতে হবে সাংবাদিককেই। অন্তত এমনই আবদার সংসদের। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলছে, কোনও সাংবাদিক আদালতকেও তার সোর্স বলতে বাধ্য নন।
শিক্ষামহলের একাংশ অবশ্য বলছেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঢালাও টুকলির রীতি চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কয়েক বছর ব্যাপারটা বেলাগাম হওয়ার পর এখন সমালোচনার মুখে তাতে রাশ টানার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু প্যান্ডোরার যে বাক্স তারা খুলেছেন তা বন্ধ করা আর তাদের কাজ নয়।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।