হাসপাতালে বসেই মেয়েকে চিঠি লেখেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই চিঠি হাতে আসে ইডির। আর তাতেই রয়েছে শংকর আঢ্যর নাম। বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধানকে আদালতে পেশ করে এমন দাবি করল ইডি। এদিন শংকরকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছেন তদন্তকারীরা।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, SSKM হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে একাধিক চিঠি লিখেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত ১৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার পরদিনই হাসপাতালে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে। দেখা করেন বাবার সঙ্গে। মেয়ের সঙ্গে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র দাদাও।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, হাসপাতালের কেবিনে CCTV ক্যামেরা খোলা হতেই মেয়েকে চিঠি লেখেন জ্যোতিপ্রিয়। হাসপাতালের বিশেষ দূত মারফৎ সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছিল মেয়ের কাছে। তবে তার আগে চিঠি কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে চলে আসে। সেখান থেকে চিঠি পৌঁছয় ইডির আধিকারিকদের হাতে। জ্যোতিপ্রিয়র লেখা সেই চিঠিতে শংকর আঢ্য ছাড়াও রয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই নাম প্রকাশ্য আদালতে জানায়নি ইডি।
শুক্রবার রাতে শংকর আঢ্যের গ্রেফতারির পর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, ‘সারাদিন ব্যবসা নিয়ে প্রশ্ন করল। রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ ইডির এক আধিকারিক এসে বললেন জ্যোতিপ্রিয় কোন কাগজে ওর নাম বলেছে। আপনাকে গ্রেফতার করা হল। আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। রেশন দুর্নীতির কিছু ও জানেই না।’
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনগাঁয় শংকর আঢ্যর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হন শংকর আঢ্য। গাড়ি করে শংকর আঢ্যকে নিয়ে বেরনোর সময় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় শংকরের অনুগামীরা। হামলায় ভাঙে ইডির গাড়ির কাচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় শংকর আঢ্য বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তকারীদের বলেছি যেন সুবিচার হয়।’