আর কয়েকদিন পর সেপ্টেম্বর মাস। তারপরই অক্টোবরে দুর্গাপুজো। সুতরাং হাতে বেশি সময় নেই। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কেনাকাটা। আবার এই কেনাকাটার জন্য বাজারে বাড়ছে ভিড়। কিন্তু উত্সবের আনন্দ যেন বিষাদ ডেকে না আনে। কারণ সেই করোনাভাইরাস। এখন আবার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সতর্ক কলকাতা পুরসভা। এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন বাজারে শুরু হচ্ছে ক্রেতা–বিক্রেতাদের সচেতন করার কাজ।
আর দেড় মাস পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গাপুজো। এখন থেকেই দোকানে, বাজারে, শপিং মলে জামা কাপড় কেনার ভিড়। শনিবার–রবিবার ভিড় বাড়ছে নিউমার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট চত্বরে। কিন্তু উৎসবের হাত ধরে যেন সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তার জন্যই তত্পর কলকাতা পুরসভা। আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উৎসবের মরশুমে যেন ভিড় না হয়।
কিন্তু বেচা–কেনা তো করতেই হবে। না হলে চলবে কি করে। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে পুরসভার পক্ষ থেকে কলকাতার বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতা–বিক্রেতাদের সচেতন করা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে এদিন পুরসভায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হয়। পুরসভার বাজারগুলি রোজ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও খবর।
এদিন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ক্রেতা–বিক্রেতা দু’জনেরই সুরক্ষার জন্য সচেতনতার প্রচার শুরু হয়েছে। ক্রেতারা মাস্ক না পরলে দোকানদারদের বলতে হবে। যদি তাতেও কথা না শোনে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, পুজোর আগে অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই আগাম সতর্কতা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একাধিক সেফ হোম। এখন রাজ্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে থাকলেও সতর্কতা না নিলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।