দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার চেম্বার কাউন্সিলে আয়োজিত বৈঠকে আজ, সোমবার কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা, দমকল বিভাগের আধিকারিক, পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, বিভাগীয় ডি জি , বোরো চেয়ারম্যান–সহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপুজো নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা–সহ নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
এদিকে আজ দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নানা মত বিনিময় হয় এই বৈঠকে। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো নিয়ে এমন বৈঠক হয়। সমস্ত বিভাগকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। যাতে আসন্ন দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে আয়োজন করা যায়। বৈঠকে রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা ঠিক করেছি যে সব রাস্তা ঠিক নেই সেটা মেরামত করবে পুরসভা। ১৫ দিনের মধ্যে খারাপ রাস্তা ঠিক করে চালু করে দিতে হবে। পুজোর আসতে বেশি সময় নেই। তাই সব বোরো অফিসকে গালিপিট পরিষ্কার করতে বলে দেওয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে এবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে কলকাতা পুরসভা। তাই মেয়রের কথায়, ‘বিজ্ঞাপনের সময় অনেকে বেআইনি ব্যানার লাগায়। তাই সেটা রোধ করার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের বিজ্ঞাপনে যাতে নাম থাকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাছের উপরে ব্যানার বা বিজ্ঞাপন যেন না লাগানো হয়। সেটা দেখার জন্য বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন যেন না করা হয়। কোন বিদ্যুতের খুঁটি কার ,সেটা যেন আগে থেকেই ঠিক করা হয়। প্রচুর ম্যানহোলে চুরি হচ্ছে। এটা আমরা পুলিশকে বলেছি দেখার জন্য।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ঝাড়গ্রামে পর্যটক টানতে তৈরি হল থিম সং, নয়া রূপে পরখ অরণ্য সুন্দরীকে
আর কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? এদিন কলকাতা পুলিশের কর্তারাও ছিলেন। সেখানে মেয়র কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আজ লালবাজারকে জানান, শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য টাকা দিয়েছি কলকাতা পুরসভা। এই সমস্ত সিসিটিভি চলছে কি চলছে না, তার একটা লাগাতার রিভিউ করতে বলা হয়েছে। অনেক সময় গাড়ি নিয়ে এসে ম্যানহোল চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপদজনক হয়ে যাচ্ছে। তাই লালবাজারকে বলা হচ্ছে, সিসিটিভি ক্যামেরা যাতে ঠিক থাকে সেটা দেখতে। মেয়র বলেন, ‘জল জমার পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। আর কোথাও বেশি সময়ের জন্য জল জমছে না। মহলায়ার আগে শহর কলকাতার সমস্ত রাস্তা ঠিক করা হবে।’