কলকাতাকে ছয়টি জোনে ভাগ করে চলবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কেউ সমস্যায় পড়লেই যাতে দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়, সেজন্য প্রশাসনের তরফে পুরনিগম এলাকাকে বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর কলকাতাকে যাতে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেজন্যই এই উদ্যোগ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির প্রভাবে জনজীবন যাতে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে না পড়ে সেজন্য কলকাতার ১৬টি বোরো এলাকাকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এই ৬টি জোন হল, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, মধ্য কলকাতা, পূর্ব কলকাতা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও বেহালা। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন এক একজন করে জন প্রতিনিধি। সেই জনপ্রতিনিধির অধীনে এক একটি করে টিম থাকবে।সেই টিম এলাকায় কাজ করবে।
প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। পুর নিগম সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতা জোনের দায়িত্বে থাকবেন অতীন ঘোষ।দক্ষিণ কলকাতায় দায়িত্বে থাকবেন দেবাশিস কুমার।পূর্ব কলকাতায় দায়িত্বে থাকবেন স্বপন সমাদ্দার।
মধ্য কলকাতায় দায়িত্বে থাকবেন জীবন সাহা ও তাপস রায়। টালিগঞ্জ ও যাদবপুরের দায়িত্বে থাকবেন অরুপ বিশ্বাস। বেহালায় দায়িত্বে থাকবেন তারক সিং। এই ৭ জন জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ এলাকায় বোরো এক্সিকিউটিভ, বোরো কো–অর্ডিনেটর ও পুর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। ঘূর্ণিঝড়ে এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা সম্ভব হয়, সেজন্যই এই টিম তৈরি করে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় গত সোমবার থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে মনিটরিং করা হচ্ছে। ঝড়ের দাপটে যদি কলকাতার মূল রাস্তায় গাছ পড়ে যায়, তাহলে তা দ্রুত সারাইয়ের ব্যবস্থাও করবে কলকাতা পুরনিগম।পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে শুরু করে পানীয় জল সরবরাহে যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।