বিচারব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন দু’জন আইনজীবী। এমনকী স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি জানান তাঁরা। তার প্রেক্ষিতে মামলা দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সওয়াল–জবাব শুনে অভিষেকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক কী বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট? এদিন মামলা দায়ের করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। সেখানে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই হাইকোর্টে ৪১ জন বিচারপতি রয়েছেন। কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে সেটা তো পরিষ্কার হওয়া দরকার। ১ শতাংশ বলে কিছু হয় না। তাই অবমাননার মামলা করার দরকার আছে বলে আদালত মনে করছে না। অভিষেকের মন্তব্যে বিচারব্যবস্থা কলঙ্কিত হয়েছে বলে আদালত মনে করছে না। এই মুহূর্তে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’ বিচারপতির এই মন্তব্যের পর মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
কেমন সওয়াল–জবাব হয়? এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি উঠতেই বিচারপতিদের এক শতাংশ বলতে কী বুঝিয়েছেন অভিষেক তা নিয়ে প্রশ্ন করল আদালত। তখন মামলকারী সুস্মিতা সাহা দত্ত অভিষেকের বক্তব্যের পেন ড্রাইভ জমা দেন। তা শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘বিচারপতিদের এক শতাংশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? একজন সাংসদ বলল মানেই ধরে নিতে হবে তেমন তো নয়। এক শতাংশ বলেছেন। কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে সেটা পরিস্কার নয়। আমার তো মনে হয় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক? হলদিয়ায় শ্রমিক সম্মেলনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থা একজন–দু’জন আছেন যাঁরা যোগসাজশে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই করে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন। ভাবতে পারেন! আপনি অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দিতে পারেন, কিন্তু স্থগিতাদেশ দিতে পারেন না।’ যদিও রাজ্যপাল আজ এই ইস্যুতে মুখ্যসচিরকে পদক্ষেপ করতে চিঠি লিখে সময় বেঁধে দিয়েছেন।