একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চ পরিদর্শন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার–সহ কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। এই সমাবেশে আগত মানুষজন এবং যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন নগরপাল। ধর্মতলা চত্বরের সব বহুতলের উপর থেকে নজরদারি করা হবে। নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকছেন ১৭ জন ডিসি। মঞ্চ ও সংলগ্ন এলাকা তিনটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। তিনজন ডিসি ওই তিন জোনের দায়িত্বে থাকবেন। শহরে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারবে না।
কী দেখলেন পুলিশ কর্তারা? বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের হাইভোল্টেজ সমাবেশ। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আজ, মঙ্গলবার ধর্মতলার সভামঞ্চে এসে হাজির হন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ কর্তাদের নজর ছিল মঞ্চের দিকে। কারণ এবার মঞ্চ আগের থেকে অনেকটাই বড়।
এত কড়াকড়ি কেন করা হচ্ছে? সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক আগন্তুক। সারারাত সেখানে কাটায়। তার কাছ থেকে রড পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিজি সিকিউরিটি–কে। তাই এবার একুশে জুলাইয়ের নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এবার মঞ্চে থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক, সংগঠনের শীর্ষ নেতা–সহ বিশিষ্টজনরা। তাই নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছেন নগরপাল? একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে নিরাপত্তা নিয়ে নগরপাল বিনীত গোয়েল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মঞ্চ তৈরির সময় থেকেই নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রচুর লোক আসবে এটা ধরে নিয়েই যান নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’