এবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেচ দফতর থেকে জলপথ, পূর্ত–সহ বেশ কয়েকটি দফতরে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং কত টাকা কাজের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে তা প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চেয়েছেন তিনি।
ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে উদয়নারায়ণ থেকে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই নিয়ে ডিভিসি’কে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝরাতে যদি জল ছাড়ে, তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ মরে যাবে। এটা পাপ, অন্যায়। বন্যাটা কিন্তু হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য। ম্যানমেড বন্যা।’ ডিভিসি কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা হওয়ায় গায়ে লেগেছে বিরোধী দলনেতার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, ‘কোনও মন্ত্রীর, আধিকারিকের এই সরকারের কাজ করার অধিকার নেই। অর্থ দফতর কোনও টাকা দেয় না। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, ২০১৯–২০, ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ এই তিন অর্থবর্ষে কত টাকা বরাদ্দ করেছিলেন এবং কত টাকা খরচ করেছিলেন? সেটা প্রকাশ করলেই প্রমাণ হয়ে যাবে অর্থ দফতর ২০ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে। যার ফলেই এই অবস্থা। বরং কেন্দ্রীয় সরকার চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নিম্ন দামোদরে কাজ করছে।’
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘ওরা যদি ওদের বাঁধ ও ক্যানালগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে, তাহলে অনেক জল ধরে রাখতে পারে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে না। ড্রেজিং করে না। মাঞ্চেত, মাইথন, তেনুঘাটে ২ লক্ষ কিউসেক মেট্রিক টন আরও ধরতে পারে। ওদের খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। এটা অন্যায়।’ জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘গোটা রাজ্যকে ভাতাতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় খরচ করলে ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করা যায়, সেটাই তাঁর অ্যাজেন্ডা। পূর্ত, সেচ দফতরের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণে সরকার খরচ করে না।’