২১ জুলাইয়ের সমাবেশের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে অস্ত্রসহ সন্দেহভাজনের গ্রেফতারি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। নগরপাল জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন। তাঁর কাছে একাধিক সংস্থার পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে গাঁজা। কেন সে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে ঘোরাঘুরি করছিল তা জানতে তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ। হরিশ চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটের মুখে একটি কালো গাড়িকে ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। গাড়িটিতে এজনই আরোহী ছিলেন। গাড়িতে লাগানো ছিল পুলিশ স্টিকার। পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন। এর পর জানা যায়, গাড়িতে রয়েছেন এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি রয়েছে। তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবির আধিকারিক বলে দাবি করেছেন। তবে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পরিচয়পত্র প্রাথমিকভাবে নকল বলে মনে হয়েছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের।
সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হয় কালীঘাট থানার একটি লাল রঙের গাড়ি। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তাতে কার্যত ধাক্কা মেরে তোলা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি জানান, ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন। সে নিজেকে কখনও পশ্চিম মেদিনীপুর, কখনও আনন্দপুরের বাসিন্দা বলে দাবি করছে। তার কাছ থেকে ভোজালি ও গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিল সে। কেন সে অস্ত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে বিএসএফের পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে সেই পরিচয়পত্র আসল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাব্যবস্থা আবার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নগরপাল। তবে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করায় বাহিনীর আধিকারিকদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে গত বছর ২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় হাফিজুল মোল্লা নামে এক যুবককে। যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি লোহার রড। যুবক সারা রাত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এক কোণে লুকিয়ে ছিল বলে জানায় পুলিশ। গত ৮ মে তাঁকে ১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত।