আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজ বিলকুল নাপসন্দ তাঁর। এদিন নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত মূল্যায়ন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের। পর পর পাঁচদিন ধরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। সেটিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন যে ভালো ভালো মিষ্টির আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত বাংলার ভাগ্যে জুটেছে কাঁচকলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের দাবি মেনে জিএসডিপির ওপর তিন শতাংশের জায়গায় পাঁচ শতাংশ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু শুধু আধ শতাংশ মিলবে বিনা শর্তে। বাকি দেড় শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ পেতে হলে মানতে হবে নানান শর্ত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন সেই সব শর্ত মানতে গেলে ফেডেরাল স্ট্রাকচার থাকে না। সবই কেন্দ্রের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, যেটি তিনি করতে নারাজ, সাফ করে দেন মমতা।
চারটি মাপকাঠির মধ্যে তিনটিতে আশানুরূপ কাজ করলে তবেই মিলবে অতিরিক্ত অর্থ। মমতা বলেন যে তিনি রাজ্যের মানুষদের ওপর বোঝা চাপাতে চান না। অন্য রাজ্যের মতো এখানে কর্মীদের মাইনে কাটা যায় নি, বা ডিএ-ও কাটা হয় নি। সেখানে কেন্দ্রের কথায় হাওড়া, কলকাতার মতো পুর এলাকায় তিনি ট্যাক্স বাড়াবেন না বলে সাফ জানান তিনি। একই সঙ্গে ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্পের বিষয় তিনি বিশেষ উত্সাহী নন, সেটিও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিদ্যুত্ সেক্টরে আপাতত কেন্দ্রের দাবিমতো সংস্কার করারও বিশেষ পক্ষপাতী নন তিনি।
অর্থাত্ কেন্দ্র দুই শতাশ খাতায় কলমে দিলেও আসলে যে আধ শতাংশের ওপর টাকা আসবে না, সেটি কার্যত মেনেই নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ঘুরিয়ে অনেকবার বিজেপিকে একহাতও নেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে ঘোলাজলে মাছ ধরার অভিযোগও করেন তিনি। কেন্দ্রের প্যাকেজ যে একটি বড় শূন্য, সেই কথা আগের দিনের মতো এদিনও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।