দশ দিনের লড়াই শেষ। বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রৌঢ়ের। এই প্রথম কলকাতায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের বিধি জানতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বড় কথা, ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সাম্প্রতিককালে বিদেশযাত্রা করেননি। বিদেশযাত্রা করেননি তাঁর কোনও আত্মীয়ও। তাহলে সংক্রমণ হল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের জবাব হাতড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
গত ১৩ মার্চ থেকে শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শুকনো কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন দমদমের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে বিলাসপুর থেকে কলকাতা এসেছিলেন তিনি। মাঝেমাঝেই কলকাতায় মায়ের কাছে আসতেন তিনি। জানা গিয়েছে, আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতা আসেন তিনি।
গত ১৬ মার্চ অসুস্থতা বাড়লে প্রৌঢ়কে বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনরা। সেখানে ক্রমশ তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর পর তাঁকে পাঠানো হয় ভেন্টিলেশনে। ওই ব্যক্তি হাইপারটেনশনের রোগী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে প্রৌঢ়ের লালারসের নমুনা এসএসকেএম ও নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ২ জায়গা থেকে আলাদা রিপোর্ট আসে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। এর পর ফের তাঁর লালরসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। গত শনিবার জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনি।
সোমবার সকাল থেকে ওই প্রৌঢ়ের শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর।
ওদিকে প্রৌঢ়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই তাঁর মা, স্ত্রী ও বাড়ির পরিচারিকাকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের দেহে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না তা জানতে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা হচ্ছে প্রৌঢ়ের বাড়ির পরিচারিকার পরিবারের সদস্যদেরও।