ভরদুপুরে ফ্য়ানের হাওয়ার নীচে ঘামছেন আপনি। আর সেই সময় টুক করে কারেন্ট অফ হয়ে গেল। রাতে সবে বিছানায় গিয়েছেন। কারেন্ট অফ হয়ে গেল। এটা রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। তিতিবিরক্ত বঙ্গবাসী। সিইএসসির ভূমিকায় বড় প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য বারই বারই এনিয়ে নানা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাসেও তো কাজ হচ্ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন বঙ্গবাসী। তার জেরেই কি নড়েচড়ে বসলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী?
সূত্রের খবর, এবার সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে চরম বকাঝকা করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আপনাদের জন্য় রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এরপর আর কোনও অভিযোগ যেন আমার বা আমার দফতরের কাছে না আসে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্যার সমাধান করুন। প্রয়োজনে টেকনিকাল টিম বৃদ্ধি করুন। রীতিমতো ধমক বিদ্যুৎমন্ত্রীর।
এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কিত অভিযোগ জানানোর জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। সিইএসসি আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নানা পরামর্শ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। এমনকী বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে দেশের একাধিক রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। বার বার লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত হয়ে যান সাধারণ মানুষ। এরপর ধমকের রাস্তায় হাঁটলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
এর আগে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে বাংলা কতটা উন্নত তা নিয়ে রীতিমতো ফলাও করে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, , বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বীকৃতি দেয় তখন কীসের হিসাবে দেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম স্থান পেয়েছে বাংলা।আমরা অনেককে হারিয়েছিল।আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। কোথাও কোনও ঘাটতি নেই। কোথাও যান্ত্রিক গোলোযোগ, কোথাও প্রকৃতির কাছে হেরে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে। বিজেপি, সিপিএম লোডশেডিংকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। কিন্তু বর্তমান সরকার লোডশেডিং শব্দটা মুছে দিয়েছে ।
সেই সঙ্গেই বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আমি বলছি সবাইকে একটা নয়, একটার জায়গায় দশটা এসি কিনুন। একটা ওয়াশিং মেশিন নয়, ৫টা ওয়াশিং মেশিন কিনুন, ১০টা টিভি লাগান, কোনও অসুবিধা নয়, শুধু লোডটা বাড়িয়ে নেবেন। দশটা এসি কিনুন, শুধু লোডটা বাড়িয়ে নিন। আমাদের আধিকারিকদের বলুন সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে দেবেন। শুধু দেখবেন একজনের জন্য় যেন কয়েকজনের সমস্যা না হয়। মন্ত্রীর সংযোজন ছিল, বিদ্যুতের কোথাও কোনও অভাব আমাদের নেই। তিনি বলেন, এখানে তো ওয়ার্ক কালচার ছিল না। সেটা ফিরিয়ে এনেছি।
তবে তাতেও কাজ হয়নি। এবার ধমকের রাস্তায় মন্ত্রী।