লক্ষ্য দিল্লি দখল। জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের আরও প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি করা। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তার। আর সেই লক্ষ্যে শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একেবারে গুছিয়ে কমিটি তৈরি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে সেটাও নির্ধারিত করেছেন নেত্রী। শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে নতুন কমিটিতে কে কোন পদে থাকছেন তা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দল সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। অন্যদিকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুব্রত বক্সিকে। নীতি নির্ধারন কমিটির দায়িত্বে থাকছেন যশবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র সহ কয়েকজন। তাঁরাই অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে খসড়া তৈরি করবেন।
জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে থাকছেন সুখেন্দু শেখর রায়। রাজ্যসভা চলাকালীন তিনি ওই দায়িত্বে থাকবেন। লোকসভায় মুখপাত্র থাকবেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। মহুয়া মৈত্রও দিল্লির অফিস থেকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। উত্তরপূর্বের দায়িত্বে থাকছেন সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিক। উত্তরপ্রদেশের কনভেনার হিসাবে থাকছেন রাজেশপতি ত্রিপাঠি ও হরিয়ানার কনভেনার হিসাবে অশোক কানোয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোষাধক্ষ্যের দায়িত্বে থাকছেন অরূপ বিশ্বাস।