বিধাননগরে বন্ধ বাড়ি থেকে ২ মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে এমনই দাবি পুলিশের। সোমবার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। দুটি দেহেরই করোনা পরীক্ষা হয়েছে।’ এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার সকালে বিধাননগরে বিই ব্লকের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাপিয়া দে ও শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থ নামে ২ মহিলার দেহ। সম্পর্কে তাঁরা মা ও মেয়ে। শর্মিষ্ঠাদেবী মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী।
বিধাননগরের এক পদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দেহ দুটির ময়নাতদন্ত হয়েছে। দেহ দুটিতে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই।’ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বেড শোর হয়েছিল ৮০ বছর বয়সী পাপিয়াদেবীর। তা থেকেই সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মা ও মেয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আত্মীয়দের ফোন ধরছিলেন না। রবিবার সকালে এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গেলেও কারও সাড়া মেলেনি। এর পরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। দরজা ভেঙে ২টি আলাদা ঘরে উদ্ধার হয় মা ও মেয়ের দেহ।
২০১৪ সালে সুরজিৎ পুরকায়স্থের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিজেপিতে যোগ দেন শর্মিষ্ঠাদেবী। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা কর পুরকায়স্থকে যদিও বিজেপিতে সক্রিয় অবস্তায় তেমন দেখা যায়নি।