স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ৯ বছর পূর্তির দিনই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিল বিজেপি। এদিন মমতা সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে ৯টি পয়েন্টে তাদের চার্জশিট দিয়েছে বিজেপি। ‘আর নয় মমতা’ শীর্ষক এই প্রচার কর্মসূচি নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন বিজেপি কর্মীরা। এমনটাই জানানো হয়েছে দলের তরফে।
বুধবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে চার্জ-শিটটি প্রকাশ করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানান তিনি।
বিজেপির এদিনের কর্মসূচিকে পালটা আক্রামণ করেছে তৃণমূল। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য যখন একের পর এক বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়ছে তখন বিজেপির মাথায় ঘুরছে শুধু ক্ষমতা।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘যে সরকার চলছে তার আজকে বিশেষ দিন। প্রত্যাবর্তনের ৪ বছর পার করে আজ মমতা সরকার ৯ বছর পার করে দিলেন। এই ৯ বছর পশ্চিমবাংলার মানুষ যে কী কষ্টে কাটিয়েছেন.... আর তার সার্বিক পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। ৯ বছরের মধ্যে এই সরকারের হাড় মাংস সব আলাদা হয়ে গিয়েছে। যে টুকু বাকি ছিল করোনা আর আমফানের আক্রমণে সেটুকুও ভেঙে পড়েছে।’
দিলীপবাবু দাবি করেন, বিপর্যয়ের মুহূর্তে সরকার তার শক্তি সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে ব্যবহার না করে বিজেপিকে রুখতে ব্যবহার করছেন। দিলীপবাবু বলেন, বিপর্যয়ের সময়ও ত্রাণ দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। কয়েকদিন আগে তাঁকে ২ বার আটকানো হয়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বাধা পেয়েছেন। বাধা পেয়েছেন বনগাঁর সাংসদ জয়ন্ত ঠাকুর। মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ৯টি পয়েন্টে চার্জশিট পেশ করেন দিলীপবাবু। পয়েন্টগুলি হল, করোনা সংকট,
১. স্বাস্থ্য সংকট, মমতা ব্যানার্জি ডাহা ফেল
২. আমফান ও মমতা সরকারের ব্যর্থতা
৩. তৃণমূলের রেশন দুর্নীতি
৪. ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রবিরোধী মমতা
৫. রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক অবস্থা ও শিল্পের আকাল
৬. রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা
৭. কৃষক বিরোধী মমতা
৮. কাটমানি ও দুর্নীতির মমতা
৯. কেন্দ্র বিরোধী ও শরণার্থী বিরোধী মমতা
এদিন থেকেই #AarNoiMamata হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘নয় বছর ধরে পুরনো মদ নতুন বোতলে বিক্রি। নয় বছর ধরে পরিবর্তনের নামে সেই কমিউনিস্ট শাসন। নয় বছর ধরে অধিকার দেওয়ার নামে নীপিড়ন। নয় বছর ধরে মানুষের আস্থা ও জনমতের সঙ্গে ছেলেখেলা। এটাই মমতার সরকার। বাংলা এবার পরিবর্তনের জন্য কাঁদছে।’
এদিন #AarNoiMamata হ্যাশট্যাগে ৫৭টি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে বিজেপি।
বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সংকীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি। দুর্যোগের এই মুহূর্তে যখন সবার রাজ্যকে পুনর্গঠনে হাত লাগানো উচিত তখন তারা রাজনীতির খেলা খেলছে। রাজনীতি করার জন্য এখনো অনেক সময় পড়ে রয়েছে।’
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘যে সরকার চলছে তার আজকে বিশেষ দিন। প্রত্যাবর্তনের ৪ বছর পার করে আজ মমতা সরকার ৯ বছর পার করে দিলেন। এই ৯ বছর পশ্চিমবাংলার মানুষ যে কী কষ্টে কাটিয়েছেন.... আর তার সার্বিক পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। ৯ বছরের মধ্যে এই সরকারের হাড় মাংস সব আলাদা হয়ে গিয়েছে। যে টুকু বাকি ছিল করোনা আর আমফানের আক্রমণে সেটুকুও ভেঙে পড়েছে।’
দিলীপবাবু দাবি করেন, বিপর্যয়ের মুহূর্তে সরকার তার শক্তি সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে ব্যবহার না করে বিজেপিকে রুখতে ব্যবহার করছেন। দিলীপবাবু বলেন, বিপর্যয়ের সময়ও ত্রাণ দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। কয়েকদিন আগে তাঁকে ২ বার আটকানো হয়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বাধা পেয়েছেন। বাধা পেয়েছেন বনগাঁর সাংসদ জয়ন্ত ঠাকুর। মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ৯টি পয়েন্টে চার্জশিট পেশ করেন দিলীপবাবু। পয়েন্টগুলি হল, করোনা সংকট,
১. স্বাস্থ্য সংকট, মমতা ব্যানার্জি ডাহা ফেল
২. আমফান ও মমতা সরকারের ব্যর্থতা
৩. তৃণমূলের রেশন দুর্নীতি
৪. ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রবিরোধী মমতা
৫. রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক অবস্থা ও শিল্পের আকাল
৬. রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা
৭. কৃষক বিরোধী মমতা
৮. কাটমানি ও দুর্নীতির মমতা
৯. কেন্দ্র বিরোধী ও শরণার্থী বিরোধী মমতা
এদিন থেকেই #AarNoiMamata হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘নয় বছর ধরে পুরনো মদ নতুন বোতলে বিক্রি। নয় বছর ধরে পরিবর্তনের নামে সেই কমিউনিস্ট শাসন। নয় বছর ধরে অধিকার দেওয়ার নামে নীপিড়ন। নয় বছর ধরে মানুষের আস্থা ও জনমতের সঙ্গে ছেলেখেলা। এটাই মমতার সরকার। বাংলা এবার পরিবর্তনের জন্য কাঁদছে।’
এদিন #AarNoiMamata হ্যাশট্যাগে ৫৭টি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে বিজেপি।
বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সংকীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি। দুর্যোগের এই মুহূর্তে যখন সবার রাজ্যকে পুনর্গঠনে হাত লাগানো উচিত তখন তারা রাজনীতির খেলা খেলছে। রাজনীতি করার জন্য এখনো অনেক সময় পড়ে রয়েছে।’