মন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছে। দলের সব পদ থেকেও বাদ। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি বিধায়ক পদও ছেড়ে দেবেন? শুক্রবার তাঁর এক আইনজীবী সেব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, প্রভাবশালী বলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি বিধায়ক পদও প্রয়োজনে ছাড়তে পারেন। এমনটাও মনোভাব তাঁর। তবে পার্থ সরাসরি একথা জানাননি বলে সেই আইনজীবী জানিয়েছিলেন। তবে এবার তাঁর আর এক আইনজীবী সুকন্য়া ভট্টাচার্য পার্থর সঙ্গে সংশোধনাগারে গিয়ে দেখা করেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, পার্থবাবু কোনওভাবেই বিধায়ক পদ ছাড়বেন না। দল এবং নেত্রীর উপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত তিনি বিধানসভায় থাকতে চান। আইনের উপরেও পার্থবাবুর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল তাতে কার্যত এবার জল পড়ে গেল। এর সঙ্গে এটাও সামনে এল মমতার প্রতি আস্থা হারাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পদ থেকে বাদ পড়লেও দলের প্রতি আস্থায় চিড় ধরেনি তার। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
সূত্রের খবর, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক পদ ছাড়তে চান না। কিন্তু কেন তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে চান না? এনিয়েও নানা চর্চা চলছে। এর সঙ্গেই পার্থর জেলজীবন সম্পর্কেও ইঙ্গিত মিলেছে। একটি ছোট্ট ঘরে মাটিতে শুয়ে দিন কাটছে তাঁর। বিছানার চাদর ছাড়াই শুয়ে থাকছেন। কোনওরকম সুযোগ সুবিধা তিনি নিতে চাইছেন না। তবে কি বিধায়ক পদে থেকেও প্রভাবশালী তকমা এড়াতে এই কৃচ্ছসাধন করছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?
অন্যদিকে পার্থ সম্পর্কে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, দল তাঁকে পার্থ ইস্যুতে সেন্সরড করেছে।