রয়েছে কোমরে ও পায়ে ব্যথা। জেলযাপনের তৃতীয় দিনে কিছুটা হাঁটাহাটি করেছেন তিনি। কিন্তু জেলে বাড়তি কোনও সাহায্য নিতে চান না শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই জেলের হাসপাতালেও যেতে চান না তিনি। আইনজ্ঞদের মতে, প্রভাবশালী তত্ত্ব এড়াতে জেলে সুযোগ সুবিধা এড়াচ্ছেন তিনি।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রের খবর, পার্থবাবুর কোমরে ও পায়ে ব্যথা রয়েছে বলে চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা তাঁকে জেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এতটুকু সমস্যার জন্য হাসপাতালে যেতে রাজি নন তিনি। এমনকী জেলে বাড়তি কোনও সুবিধা নিতে চাইছেন না তিনি।
গভীর নিম্নচাপে উত্তাল সমুদ্র, বাংলার উপকূলে জারি লাল সতর্কতা
আইনজ্ঞদের মতে, এর আগে সারদাকাণ্ডে দলের একাধিক নেতার জামিনের বিরোধিতা করায় সিবিআইয়ের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল প্রভাবশালী তত্ত্ব। এর জেরে বিশেষ করে মদন মিত্রের জামিন করাতে নাভিশ্বাস উঠেছিল আইনজীবীদের। মদনের গ্রেফতারির পর ময়দানে মঞ্চ করে ধরনা দেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর ‘আমরা সবাই চোর’ লিখে রাস্তায় হেঁটেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এসব নজির আদালতের সামনে রেখে সিবিআই দাবি করেছিল, এরা ভয়ানক প্রভাবশালী। জামিন পেলেই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে এরা। যার জেরে ২ জনকেই জামিন পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
পার্থকে যাতে সেই ফাঁদে পড়তে না হয় সেজন্য আগে থেকেই সতর্কতা নিয়েছে তৃণমূল। তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল, সরানো হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকেও। পার্থর গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সরাসরি মুখ খোলেননি কোনও তৃণমূল নেতা। যার ফলে আদালতে ইডি পার্থর বিরুদ্ধে অন্তত প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করতে পারবে না বলে দাবি শাসকদলের।