বেসরকারি DLEd প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে কত বখরা পেতেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, আদালতে তা খোলসা করল ইডি। বুধবার মানিকের জামিনের আবেদনের শুনানিতে এই তথ্য তুলে ধরেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতির টাকা যেত আরও বেশ কয়েকজনের কাছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রার্থীদের কাছ থেকে ৬ – ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গোপাল দলপতি। আর এবার বেসরকারি ডিএলএড প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিতে দুর্নীতির অংক প্রকাশ্যে আনল ইডি। ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, পার্থ – মানিক ২ বন্ধু রীতিমতো গলা জড়াজড়ি করে বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার নামে দুর্নীতি করেছে। অনুমোদন পেতে কত দিতে হবে তার রেট বেঁধে দিয়েছিল তারা। বেসরকারি কলেজকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিতেন ৬ – ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক ভট্টাচার্য নিতেন ২ – ৫ লক্ষ টাকা। টাকা দিলেই পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষক না থাকলেও অনুমোদন পেয়ে যেত বেসরকারি কলেজগুলি।
ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যের খাস একজন ব্যক্তি নগদে এই টাকা সংগ্রহ করতেন।