সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে চেয়ে ইডির আবেদনের দ্রুত শুনানির দাবি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন শুনানির আবেদন জানিয়েছিল ইডি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইডির আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শুনানি হবে মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে।
গত শুক্রবার সায়গল হোসনেকে আসানসোল আদালতে গিয়ে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। দিল্লি থেকে ইডির গোয়েন্দারা সকাল ১০টা থেকে তাঁকে জেরা করেন। বেলা ২টো নাগাদ ইডির তরফে জানানো হয়, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সায়গল। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। সেজন্য জেলের মধ্যেই ফের খাতায় কলমে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
শ্যালিকার মেয়েকে গর্ভবতী করার পর নিজের মেয়েকেও…., রেলকর্মী খুনে দাবি স্ত্রীর
সেদিনই সায়গলকে আসানসোল আদালতের অবকাশকালীন আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিম্যান্ড দাবি করে ইডি। কিন্তু ইডিকে হেফজত মঞ্জুর করেননি বিচারক। তিনি জানান, দিল্লিতে সায়গল হোসেনের নামে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত নেই। দিল্লি আদালতের কোনও প্রোডাক্সন অর্ডারও দেখাতে পারেননি ইডির আধিকারিকরা। তাহলে কীসের ভিত্তিতে ট্রানজিট রিম্যান্ড মঞ্জুর করবেন তিনি?
পালটা ইডির আইনজীবী বলেন, সায়গলের বিরুদ্ধে গরুপাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নামে বেনামে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। কোটি কোটি টাকার কারবার হয়েছে তাঁর মাধ্যমে। এই টাকা কার কার কাছে যেত? সায়গলের আর কোথাও সম্পত্তি রয়েছে কি না এসব জানা প্রয়োজন। কিন্তু কোনও কথা শোনেননি বিচারক।
এর পর সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে শনিবার হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার ধার্য করে। কিন্তু ইডির দাবি ছিল দ্রুত সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তারা। তাই আবেদনের দ্রুত শুনানি করুক হাইকোর্ট। এই মর্মে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে নির্ধারিত সময়েই শুনানি হবে ইডির আবেদনের।