করোনা আবহে যে কলকাতায় দুর্গাপুজোর গ্ল্যামার এতটুকুও কমবে না তা বৃহস্পতিবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর থেকে বলাই যায় যে ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে।
আর প্রতি বছরের মতো এ বছরও কুমোরটুলির অলিগলিতে ক্যামেরা হাতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ছবি–তুলিয়েরা। করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেও তাঁদের না করতে পারেনি কলকাতায় মূর্তি তৈরির সবচেয়ে বড় ঠিকানা। তাই কুমোরটুলির সকল মৃৎশিল্পী, তাঁদের পরিবার এবং যাঁরা সেখানে প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবে কুমোরটুলির দুই প্রবেশদ্বারে দুটি স্যানিটাইজিং টানেল বসানো হয়েছে। তাতে স্যানিটাইজ হয়েই কুমোরটুলিতে ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থী, ছবি–তুলিয়ে ও অন্যরা। একইসঙ্গে কুমোরটুলির ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় চারিদিকে মোট ৬টি বায়ো–টয়লেট বা জৈব শৌচাগার বসানো হয়েছে।
কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির সদস্য সুজিত পাল পিটিআই–কে জানিয়েছেন, করনো রুখতে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে কুমোরদের কোয়ার্টারে হাত–ধোয়ার একটি বড় জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে উপকৃত হবে ওই কোয়ার্টারে থাকা প্রায় ২০০ মূর্তি তৈরির সংস্থা। তিনি বলছিলেন, ‘পুজো আসতে মাসখানেক সময় বাকি রয়েছে। এতদিন ধরে করোনামুক্ত থাকা কুমোরটুলিতে ইতিমধ্যে উৎসুক লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দর্শনার্থী ও মৃৎশিল্পীদের কথা ভেবে একটি কর্পোরেট সংস্থা ও একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই স্যানিটাইজিং টানেল, বায়ো–টয়লেট ও হাত–ধোয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সুজিতবাবু আরও জানান, কুমোরটুলির প্রত্যেক মৃৎশিল্পী ও অন্য কর্মীদের নিয়মিত হাত ধুতে বলা হয়েছে। পাশপাশি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে গোটা চত্বরে রোজ মাইকিং চলছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ৪০ শতাংশ কম প্রতিমা তৈরির বায়না পেয়েছেন কুমোরটুলি মৃৎশিল্পীরা। বহু শ্রমিক যাঁরা লকডাউনে বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁরা এখনও ফিরে আসেননি। তাই কম বায়না সত্ত্বেও কুমোরটুলিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে।