উৎসবের মরসুম কাটেনি এখনও। সামনেই কালীপুজো। অনেকেই ব্যস্ত পুজোর আয়োজনে। আর অন্যান্যবারের মতো এবারও উৎসবের মরসুমে বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে রক্তের ভয়াবহ সংকট। মরণাপন্ন রোগীর জন্য় রক্ত জোগাড়় করতে কালঘাম ছুটছে প্রিয়জনদের। আর সেই সুযোগেই ফের রক্ত বিক্রির দালালচক্র বাংলায় জাঁকিয়ে বসেছে বলে অভিযোগ।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সময়টাতে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমতে থাকে। যার জেরে এই রক্তের সংকট দেখা দেয়। এর উপর এবার আবার ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। প্লেটলেট কমে যাওয়ার জেরে রক্তদাতা জোগাড় করাটাই এখন বড়় সমস্য়ার। কেন্দ্রীয় ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও রক্তে ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে।
জেলাস্তরে যে ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে সেখানেও সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। থ্যালাসেমিয়ায় যারা আক্রান্ত তাদের সাধারণত মাঝেমধ্যেই রক্তের প্রয়োজন হয়। তাদের নামও ব্লাড ব্যাঙ্কে লেখা থাকে। কিন্তু কিছু জায়গায় রক্তদাতা নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে। আর উৎসবের মরসুমে কীভাবে রক্তদাতা জোগাড় করা হবে তা ভেবে রাতের ঘুম চলে গিয়েছে অভিভাবকদের।
সূত্রের খবর, দশমীর দিন গিরিশ পার্কের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। তখনই অনলাইনে পাওয়া একটি নম্বরে ফোন করে রক্তের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। আর ফোনের উল্টো দিকে থাকা ব্যক্তি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এক ইউনিট রক্তের জন্য ২০ হাজার টাকা করে লাগবে। পরে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিনহাজার টাকায় রক্ত কেনেন তাঁরা।
এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অষ্টমী, নবমী বাদ দিয়ে এবার পুজোর অন্য়দিনগুলোতেও রক্তদান শিবির করা হয়েছিল। তবে সমস্যা মেটাতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।