যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যু হস্টেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। র্যাগিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। ফলে আগামী দিনে পড়ুয়া কী নিরাপদ থাকবে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় হস্টেলের নিরাপত্তার ওপরে জোর দিতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখার কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি
আরও পড়ুন: ১৫ মিনিটেই বদলে গেল সব, মৃত্যুর আগে যাদবপুরের মৃত ছাত্রের সঙ্গে যা করা হয়েছিল…
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের দিয়ে নজরদারি বা নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সহ উপাচার্য কাছে প্রস্তাব পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশ এই প্রস্তাব পাঠানোর কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আটকাতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। বহিরাগতরা ঢুকে পড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তাছাড়া সন্ধ্যা হলেই কার্যত নেশার আসর বসার অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসে পড়ে রয়েছে বহু মদের বোতল। আধিকারিকদের একাংশের মতে, নিরাপত্তার অভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই এ বিষয়ে নিরাপত্তা নিয়ে আর কোনও কামতি রাখতে চাইছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরেই শিশু সুরক্ষা কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল হস্টেল পরিদর্শন করে দেখতে পান, সেখানে কোনও সিসিটিভি ছিল না। তাছাড়া পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় কীভাবে দিনের পর দিন হস্টেলে পড়ুয়ারা থাকছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রতিনিধি দল। তাছাড়া জুনিয়াররা একাধিকবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে। তা সত্ত্বেও কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন উঠেছে।