২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ানো হল। গতবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যেখানে এই বিভাগে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৬,৩৬৮.৩৮ কোটি টাকা এবছর তা বাড়িয়ে করা হল ১৭,৫৭৬.৯০ কোটি টাকা। এই বাজেট পেশের সময় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতির চিত্র তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি করোনা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের বন্দোবস্ত এবং ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছে তা অন্যান্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে বলেই এদিন বাজেট পেশের সময় দাবি করা হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের সময় তিনি দাবি করেন, গত ১০ বছরের নিরিখে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটাই উন্নত হয়েছে। প্রসূতি মৃত্যুর হার যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে সুস্থ শিশুর জন্ম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে ১৬ হাজার ৭০৪ জন চিকিত্সক। ৭ হাজার ৮৮১ জন পার্শ্বচিকিত্সক এবং ৫৪ হাজার ৯০০ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। নার্স রয়েছে ৬৮ হাজারেরও বেশি।’ কোভিড মোকাবেলার জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে সে বিষয়েও বক্তব্য রাখেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। টিকাকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষের কোভিড টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।’ এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধাও আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হল বেসরকারি হাসপাতাল। চন্দ্রিমা বলেন, গত ১০ বছরের নিরিখে রাজ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ টি। পাশাপাশি আরও নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি হবে বলেও তিনি জানান।
এগুলি ঝাড়গ্রাম, তমলুক, আরামবাগ, জলপাইগুড়ি, উলুবেড়িয়া এবং বারাসতে তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ৪২ তম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়ালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এনিয়ে মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সব মিলিয়ে এর ফলে রাজ্যবাসী আরও ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে চলেছে বলেই এদিনের বাজেটে দাবি করা হয়েছে।