রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল যতই সমালোচনা করুক রাজ্য সরকারের, নিজেদের কাজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একের পর এক পুরষ্কার জিতে নিচ্ছে। তাও আবার সেই পুরষ্কার দিচ্ছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। আগে একাধিকবার এমন নজির দেখা গিয়েছে। এবার সেই ধারা অব্যাহত রইল। চতুর্থ স্মার্ট সিটি পুরষ্কার ২০২২ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবেশ এবং প্রকৃতিবান্ধব নতুন শহর গড়ার ক্ষেত্রে সকল রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে পুরষ্কৃত হতে চলেছে বাংলা। এই খবর চাউর হয়ে যেতেই মুখে কুলুপ এঁটেছে বঙ্গ–বিজেপি। আর রাজ্যের মাথায় নতুন পালক জুড়ল।
এদিকে স্মার্ট সিটির জন্য বাংলাকে পুরস্কৃত করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মূলত পরিবেশ ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শহর গড়ার কাজে অন্যান্য সব রাজ্যকে টেক্কা দিয়েছে নিউটাউনের নিম বনানী পার্ক–সহ অন্যান্য সবুজায়ন প্রকল্প। এমনকী শহরের গতিশীলতা (মবিলিটি) বিভাগেও এগিয়ে রয়েছে নিউটাউন। এই দু’টি ক্ষেত্রেই রাজ্যকে বিশেষভাবে পুরষ্কৃত করা হবে বলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সুতরাং আরও একধাপ এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই পুরষ্কার প্রাপ্তি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে মোটরহীন যান চলাচলে নজির সৃষ্টি করেছে নিউটাউন এলাকা। এখানে পাবলিক বাইসাইকেল শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাছাড়া এখান থেকে শুরু করে সাইকেলের জন্য পৃথক লেন বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পুরষ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হাতে তুলে দেবেন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মধ্যেপ্রদেশের ইন্দোরে। দু’টি ক্ষেত্রেই রাজ্যকে বিশেষভাবে পুরষ্কৃত করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আবহে রাজ্যে ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে প্রচারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন এই বিষয়টি তিনি সেখানে তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রুজিরার দুটি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করল ইডি, কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?
আর আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ইন্দোরে এই ‘ইন্ডিয়া স্মার্ট সিটিজ আওয়ার্ড’ তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালের ২৫ জুন ভারতে স্মার্ট সিটি মিশন চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পটির লক্ষ্য ভারতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালানো। আর তাতে সফল হয়েছে বাংলা। তাই এই পুরষ্কার পাচ্ছে তারা। ১০০টিরও বেশি স্মার্ট শহরের ২ হাজার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্মার্ট সিটি মিশন হল ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ। যা শহর ও শহরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন, তথ্য এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি–সহ আরও সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবহার করে।