কালবৈশাখী ঝড়ে তিনি নাকি টালমাটাল। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে এমন কথাও উঠে এসেছে। এই পুরসভা নির্বাচনে তিনি কোনও দলেরই প্রার্থী নন। তবু তাঁর নাম উঠছে কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। হ্যাঁ, তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দা্যিত্বপূর্ণ বন্ধু প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, ‘আমার নামেই ভোট হচ্ছে ১৩১ নম্বরে। যাঁকে পুরসভা নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে আমাকে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তিনিও তো আমারই নাম ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন!’
যদিও এই দাবি শুনে হাসছেন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছড়া কেটে বলেন, ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে গাত্রে হল ব্যথা। শোভন নিজেই নিজের ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আর আমার কাজই তুলে ধরছি। অন্য কারও নাম ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি।’ কিন্তু শোভনবাবু এই কথা মানতে নারাজ। তাঁর অভিযোগ, ‘১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে, যাঁর জনভিত্তি নেই। তিনি আমারই নাম ব্যবহার করছেন।’
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন আগামী রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর। সুতরাং সবাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কারণ ১৭ ডিসেম্বর প্রচারের শেষদিন। তাই পথে দেখা গিয়েছে জোরকদমে প্রচার করতে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। এখানেই তিনি পাল্টা শোভনবাবুকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রচারে বেরিয়ে ওর নাম উচ্চারণ পর্যন্ত করি না। উল্টে ভয় লাগে, কেউ যদি বলেন, এই তো তোমার স্বামীকে ভোট দিয়েছিলাম। কী করেছে? আবার ভোট চাইতে এসেছ?’
উল্লেখ্য, এখন শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালার বাড়ি থেকে রত্নাকে উচ্ছেদ করার নোটিশ দিয়েছেন। এখনও শোভন–রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে পড়েছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। তাই রত্না দেবি বলেন, ‘শোভন এই ওয়ার্ডে কিছুই করেনি। ওয়ার্ডে জেতার পরে এলাকায় আর দেখা যায়নি। আমফান, করোনাভাইরাস—এতকিছু গেল সর্বত্র আমি ছুটে বেড়িয়েছি। কোথায় ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়? মানুষকে এখন মিথ্যা বোঝানোর চেষ্টা করছে।’