গড়িয়া শ্মশানের ঘটনা নিয়ে সমাজের নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নবান্ন। শনিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে করা টুইটে বলা হয়েছে, এই ঘটনার ব্যাপক আলোচনার ফলে সমাজে সরকারের প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৃতদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনে বিশ্বাস করে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এব্যাপারে স্বচ্ছ নীতি নিয়ে চলছে তারা। মৃতদের পরিবারকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপণের সুযোগ দেওয়া বা সৎকার নিয়ে নানা কথা চলছে।’
সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায়, যেখানে বেওয়ারিশ, পচন ধরা মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছিল, সেই সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বর্তমান মহামারির কোনও সম্পর্ক নেই। এব্যাপারে নিশ্চিত করে রাজ্যের সর্বোচ্চ আধিকারিকরা লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। এমনকী সেই বিবৃতি রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
সরকারের অভিযোগ, ‘তা সত্বেও মহামারির সুযোগ নিয়ে এরই মধ্যে একটি ঘটনাকে অন্য প্রেক্ষিতে দেখানোর চেষ্টা চলছে। এতে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করছে।’
বলে রাখি, গত বুধবার গড়িয়া শ্মশানে ১৪টি বেওয়ারিশ লাশ কলকাতা পুরসভার কর্মীরা দাহ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। তাদের দাবি, ওই লাশ করোনায় মৃতদের। যদিও সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, NRS মেডিক্যাল কলেজের মর্গে থাকা বেওয়ারিশ লাশ সেগুলি।
স্থানীয়দের বিক্ষোভে লাশগুলি আবার গাড়িতে ভরে নিয়ে চলে যান পুর কর্মীরা। তখনকার এক ভিডিয়োয় দেখা যায় একটি দেহের চোয়ালে হুক আটকে উলটো করে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে এক পুরকর্মী। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য ছড়ায়।