মাদক বিরোধী প্রচারে বিজেপি নেতা তথা টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ অভিনীত একটি ছায়াছবির দৃশ্য ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিল রাজ্য পুলিশ। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য পুলিশ বৃহস্পতিবার এই পোস্ট করার পরে বিতর্কের মুখে পড়ে অবশেষে সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে দিল। শাসক দলের বিরোধী হওয়ায় কাজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছিলেন রুদ্রনীল। সে ক্ষেত্রে কেন তার ছবি রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পেজে ব্যবহার করা হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রুদ্রনীল।
তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার চাকরি না দিয়ে যুব সমাজের দুয়ারে এনে দিচ্ছে মদ। তাদের নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার উপর রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন, পুরস্কার, চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় সেই সমস্ত শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরাই স্থান পায় যারা শাসক দলের হয়ে প্রচার করে। রুদ্রনীলের বক্তব্য, শাসকদলের বিরোধিতা করার জন্য তাঁর কাজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাহলে কেন তাঁর ছবি তাকে না জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পেজে ব্যবহার করা হল?
উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী প্রচার নিয়ে যে পোস্ট করা হয়েছিল তাতে দেখা যায়, রুদ্রনীল অভিনীত একটি ছায়াছবির দৃশ্য তুলে ধরে সেখানে রুদ্রনীলের একটি জনপ্রিয় সংলাপের উল্লেখ করা হয়। রাজ্য পুলিশের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়, ‘নেশার খপ্পরে পা দেবেন না। নিজে দূরে থাকুন এবং অন্যদেরও দূরে রাখুন। সচেতন এবং সংযত হন।’
রুদ্রনীলের অভিনীত ছবির দৃশ্য মিম তৈরি করে রাজ্য পুলিশের ফেসবুকে এই পোস্ট করা হলেও অবশ্য কিছুক্ষণ পরেই তা মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে পোষ্টটি ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসে রুদ্রনীলের। তিনি ওই পোষ্টের একটি স্ক্রিনশট তুলে নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘ কেন রাজ্য রাজ্য পুলিশ মাদকবিরোধী প্রচারে আমার ছবি ব্যবহার করেছে। আমার অনুমতি না নিয়ে এই পোস্ট আমি দেখে বিস্মিত হয়েছি এবং মজা পেয়েছি।’ পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে মাদক বিরোধী প্রচার অভিযানের। অথচ দুয়ারে মদ খাইয়ে যুবসমাজকে নেশায় আসক্ত করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের ব্যাক অফিস থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে। যিনি পোস্টটি করেছেন তার কপালে দুঃখ রয়েছে।’