শিক্ষিকাকে ফোন করে ঘরের বাইরে ডেকে পিছন থেকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে বিয়ের জন্য রাখা সমস্ত সোনার গয়না ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়েছিলেন ছাত্রীর মা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ধরিয়ে দিল ঘরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা। ধৃতের কাছ থেকে চুরি যাওয়া গয়না ও টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শিক্ষিকার বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্রীর মাকে। রবিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির একবালপুরে। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে একবালপুর থানা পুলিশ। সোমবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর একবালপুরের ডেন্ট মিশন রোডের বাসিন্দা শিক্ষিকা সাল্লা খাতুন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তদন্ত নেমে রবিবার অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , ধৃত ওই মহিলার নাম তাবাসসুম বিবি (৩৯)। অভিযুক্ত ওই মহিলা একবালপুরের বেঙ্গলি শাহ ওয়ারসি লেনের বাসিন্দা। লক্ষাধিক টাকার সোনা গয়না ও নগদ টাকা চুরি হয়েছিল। তার মধ্যে দেড় লক্ষ নগদ টাকা ছিল।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলা আগেই জানতে পেরেছিল যে, ওই শিক্ষিকার বিয়ের জন্য বাড়িতে সোনার গয়না ও নগদ টাকা রাখা হয়েছে। শিক্ষিকার বাড়িতে মেয়ের পড়াশোনার জন্য যাতায়াতের সুবাদে সমস্ত কিছু জেনে ফেলেছিল ওই মহিলা। সেইমতো শিক্ষিকার বাড়িতে কাজের অছিলায় প্রবেশ করে। বেশ কিছুদিন কাজ করেই জেনে নেয় যে, কোন আলমারিতে সোনার গয়নাগুলো রাখা রয়েছে। তারপরেই ছক কষে বাড়ির নকল চাবি বানিয়ে নেয়। তারপর ফোন করে শিক্ষিকাকে বাইরে দেখা করতে বলে অভিযুক্ত। শিক্ষিকা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার সময় ঘরে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সেই সুযোগে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘর খুলে নির্দিষ্ট আলমারির মধ্যে থেকে সমস্ত সোনা গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত। তারপরেই পরিবারের লোকেরা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন,আলমারি হাট করে খোলা। ভিতর থেকে সমস্ত কিছু চুরি গিয়েছে। তারপরেই তাঁরা ঘরের সিসিটিভি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ওই মহিলার সন্ধান পান। এরপরই একবালপুর থানায় গিয়ে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।