লোকসভা ভোটে কি বাবার কেন্দ্র কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় দেওয়াল লিখনে তা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। ভগবানপুরের বাসুদেববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায়, শুভেন্দুবাবুর সমর্থনে দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে। যদিও শুভেন্দুবাবুর নিজের দাবি, পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্ত।
সোমবার ভগবানপুর বিধানসভার বাসুদেববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বড়িয়া এলাকায় ‘লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী’র সমর্থনে ভোট চাওয়া হয়েছে। নীচে লেখা, ‘১১২ নম্বর বুথ বড়বড়িয়া বিজেপি যুব মোর্চা কর্তৃক প্রচারিত’।
এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি পঞ্চায়েত ভোট মিটতে না মিটতেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। কিন্তু দলের তরফে ঘোষণা না হলেও কী করে দেওয়াল লিখন শুরু হল তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। স্থানীয় বিজেপি নেতারা জানান, তারা দেওয়াল লিখনের ব্যাপারে কিছু জানেন না।
বেলা গড়াতে গড়াতে ব্যাপারটা কলকাতায় পৌঁছয়। বিকেলে কলকাতাতেই ছিলেন শুভেন্দুবাবু। বিধানসভার সামনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। তখন তিনিও দেওয়াল লিখন করানোর কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এটা তৃণমূল করিয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপি নেই। ওরা আমাকে বিধানসভায় সামলাতে পারছে না। তাই আবার দিল্লি পাঠিয়ে দিতে চাইছে।’
২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তমলুক লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন শুভেন্দুবাবু। আর কাঁথির তৃণমূল সাংসদ তাঁর বাবা শুভেন্দুবাবু। ২০১৬ সালে সাংসদপদে ইস্তফা দিয়ে তমলুক বিধানসভায় প্রার্থী হন। জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন শুভেন্দু। আর তমলুক উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তার পর হলদি নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দুবাবু। তার পর তৃণমূলে থেকেও নেই শিশিরবাবু ও দিব্যেন্দুবাবু। বিজেপির মঞ্চে হাজির হওয়ায়শিশিরবাবুর সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে শিশিরবাবু ও দিব্যেন্দু ২ জনেরই বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল। বয়সের কারণে নিজেই আর প্রার্থী হতে চান না শিশিরবাবু। সেক্ষেত্রে বিকল্প থাকে শুভেন্দু, বা তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু। তবে লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দুবাবুর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।