রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হবে না। রাজ্যপাল শুভেন্দুকে সুরক্ষা দিচ্ছেন বলেও তোপ দাগেন কুণাল।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ জানান, ‘সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দুর নাম রয়েছে। সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে শুভেন্দু টাকা নিয়েছেন। সেবিকে সামলে দেব বলে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কেন এখনও শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়নি।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জানান, ‘ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতেই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিজেপির কোলে বসে দোল খাচ্ছেন চোর ব্ল্যাকমেলার শুভেন্দু। এখন এই শুভেন্দুকেই রাজ্যপাল সুরক্ষা দিচ্ছেন। কীসের বিনিময়ে এই সুরক্ষা দিচ্ছেন?’ এদিন ক্ষোভের সঙ্গেই কুণালবাবু জানান, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিবিআইকে ভোরবেলা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পাঠানো হয়।শুভেন্দুর নামে এফআইআর থাকলে তাঁর বাড়িতে কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পাঠানো হয়না।’ সুদীপ্ত সেনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তৃণমূলের মুখপাত্র জানান, ‘সুদীপ্ত সেন জেল বন্দি থেকেই আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন। ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত সেন।’
এদিন কুণাল ঘোষ যখন সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই বিধাননগরে এমপি, এমএলএ আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর দ্বিতীয় চিঠির বয়ানে কার নাম ছিল, তখন সুদীপ্তবাবু জানান, ‘শুভেন্দু অধিকারী। অনেকবারই আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। একটা জমির বিষয় ছিল। আমাকে ব্ল্যাকমেল করত।’ এর আগে গত বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপ্ত সেনের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। সেই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন কাদের কাদের টাকা দিয়েছিল, সেই বিষয়টি উল্লেখ ছিল। তাতে শাসক, বিরোধী অনেক নেতার নামই উল্লেখ ছিল।