বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mann Ki Baat: হাসপাতাল তৈরিতে কলকাতার ট্যাক্সিচালকের হার না মানা লড়াই, মন কী বাতে আমন্ত্রণ জানালেন মোদী

Mann Ki Baat: হাসপাতাল তৈরিতে কলকাতার ট্যাক্সিচালকের হার না মানা লড়াই, মন কী বাতে আমন্ত্রণ জানালেন মোদী

সহিদুল লস্কর। সংগৃহীত ছবি

একজন সাধারণ ট্যাক্সি চালকের এই দাঁতে দাঁত চিপে সমাজের জন্য লড়াইকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়েই চর্চা। তিনি তিল তিল করে জমানো টাকা সবটাই ব্যয় করেছেন তাঁর হাসপাতালের জন্য। এই প্রয়াসকেই এবার সম্মান জানানো হবে মন কী বাতের অনুষ্ঠানে।

বয়স ৫১ বছর। পেশা ট্যাক্সি চালক। নাম মহম্মদ সহিদুল লস্কর। জীবনের সব সঞ্চয়, স্ত্রীর গয়না, যাত্রীদের কাছ থেকে দান, সাধারণ মানুষের দান নিয়ে তিনি হাসপাতাল তৈরি করছেন বারুইপুরে। এবার সেই সহিদুলকে মন কী বাতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন কী বাতের ১০০ তম এপিসোডে তিনি উপস্থিত থাকবেন।

বাংলা থেকে একমাত্র মহম্মদ সহিদুলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তিনি দিল্লি উড়ে যাবেন। চার দিনের প্রোগ্রাম। তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সইদুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর টক শোতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা আমার কাছে গর্বের। মঙ্গলবার স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্য়ে রওনা হব। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফান্ডের জন্য় আবেদন করব যাতে আরও বেশি মানুষ এখানে চিকিৎসা পান। সেই সঙ্গেই একটি চিঠি তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে গোটা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তিনি গোটা দেশের জন্য শান্তি চান।

তিনি সংবাদ মাধ্য়মে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব এবার জ্বালানি আর গ্যাসের দামটা দয়া করে একটু কমিয়ে দিন।

বারুইপুরের পুনরিতে মারুফা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। ২০১৮ সালে ৫৫ বেডের এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল। সইদুলের বোনের নাম মারুফা। কম বয়সে মৃত্যু হয়েছিল মারুফার। এরপর মারুফার স্মৃতিতে তৈরি হয় এই হাসপাতাল। কার্যত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় ওই বোনের। আউটডোরে ১০জন চিকিৎসক রোগী দেখেন। এখানে ৫০ টাকা করে ভিজিট। কিন্তু ওষুধ একেবারে বিনামূল্যে। ক্রাউড ফান্ডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই হাসপাতালের জন্য় টাকা তোলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকার প্রয়োজন।

এদিকে দিল্লি কনক্লেভে অংশ নেবেন সহিদুল ও তাঁর স্ত্রী। ২৭ এপ্রিল তাঁরা কর্তব্য পথ, রাষ্ট্রপতি ভবন, ও পিএম সংগ্রহ শালায়, রেড ফোর্ট, রাজঘাটেও যাবেন। এরপর ২৯ এপ্রিল তাঁরা কলকাতায় ফিরে আসবেন।

এরপর ৩০ এপ্রিল রাজভবনে মন কী বাতের অনুষ্ঠানটি দেখানো হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

তবে একজন সাধারণ ট্যাক্সি চালকের এই দাঁতে দাঁত চিপে সমাজের জন্য লড়াইকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়েই চর্চা। তিনি তিল তিল করে জমানো টাকা সবটাই ব্যয় করেছেন তাঁর হাসপাতালের জন্য। এই প্রয়াসকেই এবার সম্মান জানানো হবে মন কী বাতের অনুষ্ঠানে।

 

বন্ধ করুন