Job Card Corruption: '২০১৪ সালে মৃত্য়ু, ২০১৯ সালেও কাজ করেন অমল, তোলেন টাকা', জব কার্ডে দুর্নীতি?

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের বাসিন্দা অমল আচার্য ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। দাবি করা হয়েছে, অমল মারা গিয়েছেন ২০১৫ সালে। তারপরেও নাকি ২০১৯ সালেও পুকুর খোঁড়ার কাজ করেছেন তিনি এবং টাকা তুলেছেন।

রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে। এরইমধ্যে মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ডে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। সত্যি সত্যিই ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন কিনা, তা জেলাশাসককে খতিয়ে দেখতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের বাসিন্দা অমল আচার্য ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। দাবি করা হয়েছে, অমল মারা গিয়েছেন ২০১৫ সালে। তারপরেও নাকি ২০১৯ সালেও পুকুর খোঁড়ার কাজ করেছেন তিনি এবং টাকা তুলেছেন। মৃত ব্যক্তির নামেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে।এমনকী মনোরঞ্জন বিশ্বাস নামে আরও এক ব্যক্তি ২০১৪ সালে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর অ্যাকাউন্টেও ১০০ দিনের কাজের টাকা জমা পড়ছে এবং সেই টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, এক পুলিশকর্মীরও জব কার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ। আইনজীবী আদালতকে জানান, রাজ্য সরকার এই অভিযোগ পেয়েও কোনওরকমের ব্যবস্থা নেয়নি। এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি।

সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন নদিয়ার জেলাশাসক। তার ভিত্তিতে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি রাজ্য সরকার এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবে। মামলাকারী রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।