সম্প্রতি ত্রিপুরার বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন তাঁর দলবল নিয়ে কলকাতায় এসেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সুদীপ। সেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কী সুদীপ ফের তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তবে এই ঘটনায় বিজেপির মধ্যে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিতে থাকলেও তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সম্পর্ক ভালো নয়। এর আগে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরেই সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি ছেড়ে ফের যখন মুকুল রায় তৃণমূলে চলে আসেন, তখন সুদীপবাবুও ফিরে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সুদীপবাবুর সঙ্গে আরও একজন বিধায়ক কলকাতায় এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সুদীপবাবুর বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে কবে এই বৈঠক হবে, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় অনেক নেতাই তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ত্রিপুরায় পাঁচ বারের বিধায়ক জিতেন সরকার অনেকদিন ধরেই কলকাতায় রয়েছেন। তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি যা, তাতে দীর্ঘদিনের এই বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, বিজেপির অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা করলেই ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ফেলে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে চান। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ত্রিপুরায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে।