দলের লাইনের বাইরে বিধানসভায় বিধায়করা যাতে বির্তকিত কিছু বলে না ফেলেন তার জন্য ৫ সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি এই কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যারা হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, বীরবাহা হাঁসদা ও অরূপ বিশ্বাস।
সম্প্রতি ভরতপুর ও ডেবরার বিধায়ক দুই হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে দল। ভবিষ্যতে বিধায়কদের এই ধরনের মন্তব্য বা আচারণে তৈরি হওয়া অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে মূলত এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
(পড়তে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন বিজেপি বিধায়করা আলাদা দেখা করলেন? বিধানসভায় গুঞ্জন)
কমিটির কাজ কী?
বিধানসভায় বলার ক্ষেত্রে বিধায়করা যাতে দলের লাইন মেনে বক্তব্য রাখেন, সে জন্য ভাল করে তাঁদের দলের লাইন বুঝিয়ে দেওয়া এই কমিটি অন্যতম কাজ। এর পরও বিধায়করা যদি লাইনের বাইরে গিয়ে বক্তব্য রাখেন তবে তাঁদের শাসন করার অধিকারও এই কমিটির হাতে থাকবে।
চলতি বিধানসভাতেই ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বলতে গিয়ে সংখ্যালঘু মহিলাদের এক হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি তোলেন। এক দাবি নিয়ে চর্চাও শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও গিয়েছে।
অন্য দিকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলের তরফ থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তবে থামেননি বিধায়ক।পাল্টা দল তৈরি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খবর রয়েছে, বিধায়কদের একাংশ নিয়মিত বিধানসভায় আসেন না। একাংশ আবার পুরো সময় অধিবেশনেও থাকেন না। এছাড়া অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য কী প্রশ্ন জমা দিতে হবে, সে সম্পর্কেও তাঁরা ওয়াকিবহাল নন।
অধিবেশন চলাকালীন কী ধরনের আচরণ করা উচিত তা পরিষদীয় নেতৃত্ব একাধিকবার বিধায়কদের বুঝিয়েছেন। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তাঁরা সেই নির্দেশ পালন করেন না। এই নিয়ে অভিযোগ গিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তাই দলনেত্রী নির্দেশে এই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তৈরি হয়েছে।