আগে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বড় অংশের বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারপর কেটে গিয়েছে বহদিন। তেমন কোনও নজির রাজ্য–রাজনীতিতে দেখা যায়নি। এরপরও আজ, শনিবার নিজের সেই পুরনো দাবিতে অনড় থাকলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার হেস্টিংসের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিত্তিহীন কথা আমি বলি না। ব্যাক রয়েছে তাই আমি বলছি। আবার বলছি, আমাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা যোগাযোগ রাখছে, রাখছে, রাখছে।’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে এই দাবি করলেন ফাটাকেষ্ট।
কিন্তু তিনি আগে যে দলে ছিলেন সেখানের নেতা–মন্ত্রীদের বিপুল পরিমাণ টাকা ধার পড়ছে। কী বলবেন এই পরিস্থিতি নিয়ে? এই টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। কারণ আমি এত টাকা কখনও দেখিনি। আর কামাতে পারলাম না। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করি না। কার নীচে, কত টাকা পাওয়া গেল, যাঁর টাকা তিনি বলতে পারবেন।’ এই খোঁচা দিয়ে তিনি রাজনীতির কথা বলে ফেললেন।
কবে নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দবেন? এই বিষয়ে হেস্টিংস অফিসে সাংবাদিকদের মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, ‘অপেক্ষা করুন। সবই দেখতে পাবেন। আমি ভিত্তিহীন কথা বলি না। এক্ষেত্রেও বলছি না।’ গত ২৭ জুলাই কলকাতায় এসে মিঠুন দাবি করেছিলেন, ‘৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ রাখছেন। ২১ জন তো সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? মিঠুনের এই দাবিকে নস্যাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উনি তো একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের বোন বলতেন। তারপর সিবিআই–ইডির ভয়ে দলবদল করলেন। উনি এখনও বিজেপিতে আছেন? মন থেকে আছেন কিনা বলতে পারব না। বিজেপিকে সান্ত্বনা দিতে এসব কথা বলছেন মিঠুন।’