বিভেদের মাঝে দেখ মিলন মহান। এই কথাকে মনে রেখে এবার ভবানীপুরে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল শিবির। এর সঙ্গেই মমতাকে তুলে ধরা হয়েছিল ঘরের মেয়ে হিসাবে। আর তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। একেবারে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী নিজেই জেতার পর ভবানীপুরের এই বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সব ওয়ার্ডেই আমরা জিতেছি। এদিকে ফলাফল বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভবানীপুরের ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডদুটি অন্তত গেরুয়া শিবিরের পাশে থাকবে বলে আশা করেছিলেন বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব। কিন্তু সেই দুটি ওয়ার্ডও হতাশ করেছে বিজেপিকে। ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও কার্যত ধসে গিয়েছে বিজেপি। এনিয়ে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের দাবি, প্রচুর ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। সেকারনেই তৃণমূলের এই ফলাফল হয়েছে।
এদিকে ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর আবাঙালি মানুষ বাস করেন। ২১শের বিধানসভা নির্বাচনেও এই দুটি ওয়ার্ড ভরসা দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। সেই ওয়ার্ডেও এবার এগিয়ে থাকল তৃণমূল।অন্যদিকে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে গুজরাতি ও পঞ্জাবি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। সেই ওয়ার্ডেও উতরে গিয়েছে তৃণমূল। এই ওয়ার্ডে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে। সেই পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে পাশ করেছেন তিনি। এর সঙ্গে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডও তৃণমূলের পাশে থেকেছে। সব মিলিয়ে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের আগে অ্যাসিড টেস্টেও ভবানীপুরের ফলাফলে চওড়া হাসি তৃণমূলের।