বালিগঞ্জ উপ-নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও এখনও শপথগ্রহণ হয়নি তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র। তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জট অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের নাম জড়িয়েছে। প্রায় ৫ বছর আগের এই দুর্নীতির ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ইপিআইএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে দেখা গিয়েছে, পাঁচ লক্ষ টাকা সুশান্তর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই এফআইআর রুজু করেছে এই মামলায়। যে সময় এই দুর্নীতি হয়েছিল সেই সময় কেন্দ্রীয় ভারীশিল্প প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোল থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তিনি সংসদ হয়েছিলেন। গত শনিবার এই মামলা রুজু করেছে সিবিআই। তাতে ৪ নম্বরে নাম রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র আপ্ত সহায়কের। ফলে বাবুলের আপ্ত সহায়ক এই মামলায় জড়িত থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার কারণে প্রতিহিংসামূলকভাবে এটা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।’ অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঘটনায় সিবিআই দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।’ এ বিষয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন পাঁচ বছর পর ঘটনায় এফআইআর রুজু হল। ২০২২ সালে চার্জশিট দেওয়া হল। সুশান্ত আমার আপ্ত সহায়ক ছিলেন ঠিকই, কিন্তু উনি প্রিয়রঞ্জন, নীতিশের সঙ্গেও কাজ করেছেন।’ এ বিষয়ে নাম না করে এক বিধায়ককে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আমার নাম দেওয়ার জন্য একজন বিধায়ক হাতে-পায়ে ধরেছেন। ওরা যা করছে সেটা ওদের ব্যাপার, আমার কিছু বলার নেই।’