জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের শো–কজের মুখে পড়েছেন সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালরা। সংগঠনের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ তুললে দলের কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না ভারতীয় জনতা পার্টি— এটা এই দু’দিনে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বুধবার এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার জানালেন যে দলে নিয়ম–শৃঙ্খলাই শেষ কথা।
মঙ্গলবার দলের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু, তার পর বুধবার রাজ্য বিজেপি–র মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে শো–কজ করে বিজেপি। কারণ, জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে আসতে পারে— এই ভেবে তাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার বলেন, ‘পুরনো–নতুন বলে কিছু এই দলে নেই। অগ্নিমিত্রা পালও নতুন। অনেককেই শো–কজ করা হয়েছে। সবাইকে দলের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কারণ বিজেপি–তে নিয়ম–শৃঙ্খলাই শেষ কথা।’
জানা গিয়েছে, সায়ন্তন বসুকে শো–কজের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর রাজ্য বিজেপি–র সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় শো–কজ করেছেন অগ্নিমিত্রা পালকে। দু’জনকে সাতদিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। যদিও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সায়ন্তন।
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। একে একে আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ, তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখনই রটে যে গেরুয়া শিবিরে আসতে চলেছেন জিতেন্দ্র। আর তা নিয়েই এর বিরোধিতা শুরু হয় পদ্মফুল শিবিরে। সুর চড়ান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও সায়ন্তন বসু। আর সে সময়ই সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার জেরে শো–কজ হতে হয়েছে সায়ন্তন ও অগ্নিমিত্রাকে।