দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ঘনিয়েছে গভীর অনিশ্চিয়তা৷ ৩৬ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ নিয়ে ধুঁকছে কলেজ সার্ভিস কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনগুলি। একইসঙ্গে ধুঁকছে পশ্চিমবঙ্গের লাখো যুবক–যুবতী। এবার তাঁদের স্বপ্ন দেখালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিশ্ব যুব দিবস উপলক্ষে টুইটারে সেই স্বপ্নের চারা বপণ করলেন জননেত্রী।
টুইটে তিনি লিখেছেন, যুব সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বদ্ধপরিকর। যখন ভারতে বেকারত্বের হার সর্বকালের সর্বোচ্চ (২৪%), তখন বাংলায় তা কমে হয়েছে ৪০%। উৎসাহ দানে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বাংলার ছাত্রযুব মেধাবী, দক্ষ, পরিশ্রমী। অতীতে বহুবার দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওরা, ভবিষ্যতেও দেবে। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকার কর্মসাথী নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে৷ এই প্রকল্পে এক লক্ষ বেকার যুবক–যুবতীকে সাবলম্বী করে তুলতে স্বল্পসুদে ঋণ ও ভর্তুকি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আশ্বস্ত হননি চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ৷ তাঁর টুইটেই একের পর এক অভিযোগ জানিয়ে পাল্টা টুইট করতে থাকেন বাংলার নেট–নাগরিকরা। জনৈক সুশান্ত চক্রবর্তী আনএডেড মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন–বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘কেন আমাদের জীবনটা নষ্ট করলেন।’ গ্রামপঞ্চায়েতে জীবিকাসেবকদের ৪০ মাস ধরে কোনও বেতন দেওয়া হয়নি। পাল্টা টুইট করে অভিযোগ জানান জনৈক মণীশ দে। আরেক টুইটার ব্যবহারকারী উদীপ্ত সরকার জানান, ১৩৩ জন মৃত্তিকা পরীক্ষক আজ ৭ মাস ধরে কর্মচ্যুত। এভাবেই নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় পশ্চিমবঙ্গের যুব সম্প্রদায়।