দুয়ারে দুর্যোগ। আদালতের রায়ে সোমবারই পদ থেকে সরতে হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। আদালতে পর্ষদের তরফে পেশ করা নথি আসল কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ফরেন্সিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওদিকে শিরে সংক্রান্তি বুঝে সমস্ত জেলা থেকে ২০১৪ সালের টেটে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, ১৬ জুন সমস্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে নির্দেশিকা পাঠিয়ে ২০১৪ সালের টেটে নিযুক্ত শিক্ষকদের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার সব জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে।
২০১৪ সালে প্রকাশি প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয়েছিল পরের বছর ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে প্রথম প্যানেলের ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় প্যানেল। যাবতীয় অভিযোগ ওই প্যানেলকে ঘিরেই।
সোমবার প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রার্থীদের যে আবেদনের ভিত্তিতে ১ নম্বর করে বাড়ানোর সিদ্ধন্ত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে তা আদালতে পেশ করার কথা ছিল সংসদের। কিন্তু এদিন একটিও আবেদনপত্র পেশ করতে পারেনি সংসদ। বদলে আবেদনকারী প্রার্থীদের রোল নম্বর জমা দেয় তারা। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এমনকী সংসদের তরফে ২০১৭ সালের নম্বর বাড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ডাকা বৈঠকের যে সিদ্ধান্তপত্র পেশ করা হয়েছে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন বিচারপতি। সেই নথি আনকোরা নতুন কাগজে ছাপানো বলে মনে হচ্ছে বলে ফরেন্সিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।