আগামী ১৫ অগস্টের পরে সারাদেশে স্কুল-কলেজ চালু হতে পারে, এমনই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। কিন্তু মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৬ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জুনের পরে স্কুল-কলেজগুলি খুলবে।
কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ‘আমরা স্কুল শিক্ষা বিভাগের পরামর্শ অনুসরণ করব এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব। ইতিমধ্যে তিন মাস কেটে গিয়েছে। নির্দিষ্ট কারণেই রাজ্য সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ এর কারণে ৩০ জুনের পরে ছুটি আরও বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আপডেট নেই। যথাসময়ে কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমার মনে হয়।'
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সংগঠন উপাচার্য পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক, সুবীরেশ ভট্টাচার্যও বলেন, ক্যাম্পাসে কার্যক্রম কখন চালু করা হবে, সে সম্পর্কে তাঁরা উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্তই অনুসরণ করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও কাজকর্ম সম্পর্কীয় কার্যক্রম ৩০ শে জুন অবধি স্থগিত রাখার সুপারিশ জমা দিয়েছি।’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু হওয়ার এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত বর্ষের সেমিস্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
উত্তর কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল যথাক্রমে জুলাই ও অগস্টের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি খোলার সময় আরও পিছোলে শিক্ষাবর্ষের কর্মসূচি পুরোপুরি ঘেঁটে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক স্তরের ক্লাস কবে শুরু হবে, তাই নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। তিনি বলেন, অনলাইনে সব কিছু পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বহু ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হবেন বলে তিনি মনে করেন।
এ দিন বার বার চেষ্টা করেও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেে যোগাযোগ করা যায়নি।