পাতিপুকুরে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অভিযোগে ঘটনার রাতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন উত্তেজিত জনতা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টায়ার জ্বালিয়ে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট,পাথর ছুড়ে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য ছিল, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছিল পাতিপুকুর মাছ বাজারের কর্মী পুষ্পেন্দু দপ্তরির। তবে যারা সিভিল ড্রেসে সেখানে গিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলেন তারা আদৌও কি পুলিশ ছিলেন! তাই নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন। ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
স্থানীয়রা দাবি করছেন, কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় পাতিপুকুর রেল লাইনের ধারে বসে যুবকদের মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই লেকটাউন থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। বুধবার সন্ধ্যাতেও সেখানে লেকটাউন থানার পুলিশ সিভিল ড্রেসে হানা দিয়েছিল। যদিও পাতিপুকুর রেললাইন রেল পুলিশ এবং জিআরপির অধীনেই পরে। তারপরেও কেন লেকটাউন থানার পুলিশ সেখানে অভিযান চালাবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। লেকটাউন থানা পরে বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে।
এ বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের ডি সি (সদর) সূর্য প্রকাশ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েদেন, ‘ঘটনাস্থল কোনওভাবেই আমাদের এলাকার মধ্যে পড়ে না।’ তিনি লেকটাউন থানার পুলিশের অভিযান চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন। আবার শিয়ালদা ডিভিশনের এসআরপি বি ভি চন্দ্রশেখর বলছেন বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনার সময় ওই এলাকায় জিআরপি কোনও অভিযান চালায়নি। তাহলে যারা অভিযান চালিয়েছিল তারা কোথাকার পুলিশ? আদৌও কি তারা পুলিশ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পেন্দুর মৃতদেহ। নিমতলা শ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে পারিবারিক সূত্রে খবর।