যাওয়ার আগে যেন শীতের শেষ কামড়। আচমকাই ঝপ করে নেমে গেল পারদ। সকালে আর রাতে আবার নতুন করে শীত অনুভব করা যাচ্ছে। আবার বঙ্গবাসীর মনে খুশির ছোঁয়া। তবে কি শীত আবার জাঁকিয়ে পড়বে? তবে বিশেষজ্ঞদের মতে,শীত আবার নতুন করে জাঁকিয়ে পড়ার ব্যাপার নেই। তবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নামবে।
এদিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চারদিনে সেই তাপমাত্রা কমে দাঁড়াল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চারদিনেই তাপমাত্রা একেবারে হু হু করে নেমে গেল। এই শীতের ধারাবাহিকতা কতদিন থাকবে?
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পারদ পতন এর থেকে বেশি আর হবে না। অর্থাৎ তাপমাত্রা এর থেকে বেশি নীচে আর নামবে না। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই তাপমাত্রা নামতে থাকবে। তারপর ধাপে ধাপে শীত কমে যাবে। ধীরে ধীরে ঠান্ডা কমতে থাকবে। অর্থাৎ শীত এবার বিদায়ের পথে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পরপর তিনদিন তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বাড়বে। তবে আশার কথা ১০ ও ১১ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা তুলনায় কিছুটা কমতে পারে। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আর নতুন করে তাপমাত্রা কমবে না।
গত ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি। ৩ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত ধীরে ধীরে বিদায়ের পথে। এবার শীতের মরসুমে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বৃষ্টির সেভাবে দেখা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন এটা কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক। অন্তত মকর সংক্রান্তির সময় বৃষ্টির একটি প্রবনতা থাকে। এবার সেটাও হয়নি। তবে মোটামুটি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই এবার বাংলা থেকে বিদায়ের রাস্তা ধরবে শীত। তবে জেলার দিতে ভোরবেলা ও রাতের দিকে কিছুটা শীত শীত লাগতে পারে। তবে এটা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্ন চাপের অবস্থান। শ্রীলঙ্কা উপসাগরের কাছে এটি অবস্থান করছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অবশ্য আবহাওয়ার ছবি কিছুটা অন্য়রকম। সেখানে আগামী রবিবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরে ঠান্ডা থাকবে। সঙ্গে কুয়াশাও থাকবে পুরোদমে। ঠান্ডার অনুভূতিও থাকবে পুরোপুরি।সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ থেকে এখনই শীত বিদায় নিচ্ছে এমনটা নয়। তবে ধাপে ধাপে উত্তরবঙ্গ থেকে চলে যাবে শীতের আমেজ।