Youth died in watganj: বহুতল থেকে লোহার রড পড়ে গেঁথে গেল মাথায়, ওয়াটগঞ্জে মৃত্যু যুবকের

ওই বাড়িতে নির্মাণ কাজের জন্য লোহার রড তোলা হচ্ছিল। সেই সময় বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন জাকির। বহুতলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লোহার রড এসে পড়ে তার মাথায়। জাকিরের মাথায় গেঁথে যায়। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ষোষণা করেন।

লোহার রড মাথায় পড়ে যুবকের মৃত্যু। (প্রতীকী ছবি)

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায়। বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় নির্মীয়মান বাড়ির ওপর থেকে যুবকের মাথায় পড়ল লোহার রড। আর দুর্ঘটনাক্রমে সেই রড গেঁথে গেল এক যুবকের মাথায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে ওয়াটগঞ্জ থানার কবিতীর্থ সরণির পাথরগলিতে। মৃত যুবকের নাম জাকির আলি (২১)। এই ঘটনায় পুলিশ মহম্মদ শামীম নামে এক নির্মাণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে নির্মাণ কাজের জন্য লোহার রড তোলা হচ্ছিল। সেই সময় বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন জাকির। বহুতলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লোহার রড এসে পড়ে তাঁর মাথায়। জাকিরের মাথায় গেঁথে যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটে ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে কিছুটা দূরে। এই ঘটনার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। 

স্থানীয়রা কার্যত রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। বেআইনিভাবে বাড়িটি নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে যারা রড তোলার কাজ করছিলেন ঘটনার পরেই তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির জিম করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের অভিযোগ, বেআইনি নির্মাণ কাজ চলার জন্যই জাকিরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন জাকিরের বাবা আশরাফ আলি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বহুতলে নির্মাণ কাজ চলছে তার পাশেই রয়েছে আরও একটি বহুতল। দুটি বহুতলের মাঝখান দিয়ে একটি সরু গলি রয়েছে। সেই গলি দিয়েই স্থানীয়রা যাতায়াত করেন। আবার সেই গলিতেই লোহার রড তোলা হচ্ছিল। বাড়ি যাওয়ার সময় লোহার রড এসে পড়ে জাকিরের মাথায়। যার মধ্যে একটি রড তাঁর মাথায় ঢুকে যায়। তখন বাইক থেকে ছিটকে পড়েন জাকির। তিনি নিজেই মাথা থেকে রডটি টেনে বার করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ষষ্ঠী দাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে এলাকায় রমরনিয়ে বেআইনি নির্মাণ চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভ হঠিয়ে দেয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।