দ্যুতির কোল আলো করে এল সন্তান। তার সারাগায়ে কালো ডোরাকাটা রঙের ছটা। যদিও তার নাম এখনও স্থির হয়নি। সে আর কেউ নয় আলিপুর চিড়িয়াখানার জেব্রা শাবক।নতুন অতিথি আসায় খুশির হাওয়া বইছে চিড়িয়াখানায়।
গত ২৬ মার্চে জন্ম হয়েছে ওই জেব্রা শাবকের। এতদিন মা ও শাবক দু’জনকেই চিকিত্সকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। শুক্রবার জেব্রা শাবকটিকে এনক্লোজারে ছাড়া হয়। এই নিয়ে চিড়িয়াখানায় জেব্রার সংখ্যা দাঁড়াল ৭ টি।
ভোটার আবহে যখন রঙ নিয়ে এত বিভেদ, ঠিক সেই সময় নিজের শরীরে একাধিক রঙ নিয়ে জন্মেছে জেব্রা শাবকটি।
গত মাসে পৃথিবার আলো দেখলেও এতদিন তাকে সর্বসমক্ষে আনা হয়নি। উপরন্ত মায়ের সঙ্গে সযত্নে রাখা হয়েছিল তাকে। এদিনই প্রথম আনা হল সর্বসমক্ষে। জেব্রা শাবকের জন্মের পর তাকে নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। তবে নতুন শাবকের এখনও নাম রাখা হয়নি। তবে তার মায়ের নামই দ্যুতি।নতুন জেব্রা শাবককে দেখার জন্য দর্শকদের আগ্রহও কম ছিল না।এদিন তাঁরা ভিড় করেন জেব্রার এনক্লোজারের সামনে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত জানিয়েছেন, ২০১০ সালে ইজরায়েল থেকে ২টি পুরুষ ও ২টি স্ত্রী মিলিয়ে মোট চারটি জেব্রা আনা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। তাদের মধ্যেই ছিল দ্যুতিও। তবে এই চিড়িয়াখানা থেকেও দেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানায় জেব্রা পাঠানো হয়েছে। আপাতত মায়ের দুধ খাচ্ছে শাবকটি। তিনি আরও জানান, মানুষ যেমন নবজাতককে দেখতে কৌতুহলী হয়, তেমনই জেব্রারাও তাদের সমাজে নবজাতককে দেখতে কৌতুহলী হয়ে ওঠে। এদিন যখন বাচ্চাটিকে তার মায়ের কাছে খাঁচায় ছাড়া হয়, তখন বাকি জেব্রারা সবাই কাছে এগিয়ে আসে। ফলে বিপদের আশঙ্কা করে তার মা বেশ কয়েকবার লাথিও চালিয়েছে। অবশ্য এটা একেবারেই সাময়িক। একটু পরেই যে যার জায়গায় ফিরে গিয়েছে। বাচ্চাটিও মনের সুখে মায়ের সঙ্গে খাঁচার এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। ততক্ষণে সে নিজের নয়া বাসস্থান চিনে নিয়েছে।