এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি নারায়ণ শুক্লার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করল সিবিআই। অভিযোগ, লখনউয়ের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়া ভরতি নেওয়ার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য বিচারপতিকে ঘুষ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
মামলায় বিচারপতি শুক্লার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওডিশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আই এম কুদ্দুসিকেও। একই অভিযোগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অন্যান্য চার জনের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় বিচারক কুদ্দুসিকেও।
মামলা দায়ের করার পাশাপাশি, শুক্রবার লখনউ, মীরাট ও দিল্লির একাধিক ঠিকানায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন প্রসাদ এডুকেশনাল ট্রাস্টের সদস্য ভাবনা পান্ডে, ভগবান প্রসাদ যাদব ও পলাশ যাদব। এ ছাড়া সুধীর গিরি নামে এক মধ্যস্থতাকারীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসের শেষ। সপ্তাহে সিবিআইয়ের থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিচারপতি শুক্লার বিরুদ্ধে এফাইআর দায়েরের অনুমতি দেন তত্কালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি নিজে চিঠি লিখে বিচারপতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানান।
বিচারব্যবস্থায় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পের বিচারপতি শুক্লার হাতে থাকা সমস্ত মামলা অন্য এজলাসে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।