সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পে কর্পোরেট ব্যবস্থা চালু করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে বসতে চলেছেন দেশের ৪১টি অর্ডন্যান্স কারখানার অসামরিক শ্রমিকরা।
বুধবার দুপুরে এই ঘোষণা করে তিনটি জাতীয় শ্রমিক সংগঠন, যার মধ্যে অন্যতম আরএসএস পরিচালিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা মজদুর সংঘ (বিপিএমএস)।
তবে শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যের মৃত্যুর জেরে সীমান্ত সংকট ঘনীভূত হলে ধর্মঘট পিছিয়ে যেতে পারে।
এ দিন বিপিএমএস-এর সাধারণ সম্পাদক মুকেশ সিং হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছেন, ‘সবার আগে দেশ। যদি সংকট ঘনায় সে ক্ষেত্রে আমাদের দিন-রাত কাজ করে সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে।’
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি ধর্মঘট চালু করার দিন স্থির হবে। গত ৮ ও ১৭ জুন ব্যালটের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন চালু করার জেরে বিদেশি অংশীদারের সঙ্গে জোট বেঁধে বেসরকারি সংস্থার অস্ত্র উৎপাদনে সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিবাদে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে কর্পোরেটকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে অর্ডন্যান্স কারখানা শ্রমিক সংগঠনগুলি।
The unions started a movement against corporatization in July last year. The agitation started to build up soon after the Centre enforced Arms Rules 2016, which introduced new laws to facilitate production of weapons by private players in collaboration with foreign partners.