ওয়েটিং লিস্টে থাকলেই নিয়োগ হবে না। ওয়েটিং লিস্টে থাকা সকল প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিও দুর্নীতির সমান। এমনই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী হিসেবে অনেকের চোখে ‘হিরো’ হয়ে উঠেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের একটি অনুষ্ঠানে বিকাশরঞ্জন জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ মামলায় যে প্রার্থীরা ওয়েটিং লিস্টে আছেন, তাঁদের সকলকে চাকরি দেওয়ার দাবি নায্য নয়। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের কোনও নিয়ম নেই। নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। সকলকে চাকরি দেওয়ার দাবি তোলাও দুর্নীতির মতোই। মেধাতালিকায় যাঁরা উপরের দিকে থাকবেন, তাঁদের নিয়োগ করা হবে। মেধার ভিত্তিতেই চাকরি প্রদান করা উচিত। নিয়োগের শুরুতে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতেই চাকরি হবে বলে জানান সিপিআইএমের সাংসদ তথা আইনজীবী।
আরও পড়ুন: SSC scam: SSC’তে গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বাগ কমিটির সদস্য
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতে রাজ্য সরকার তেমন চাপে না পড়লেও সম্প্রতি একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় আদালতে ধাক্কা খেয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার জেরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে।
সেই পরিস্থিতিতে গত মাসের শেষের দিকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা দাবি করেছিলেন, 'উনি (অভিষেক) বলেছেন যে এসএসসি মেধাতালিকাভুক্ত সকলের যাতে চাকরি হয়, তার পুরো চেষ্টা করবেন।' যদিও রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদে না থেকে কীভাবে অভিষেক সেই আশ্বাস দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই বৈঠক নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিকাশরঞ্জনও।
আরও পড়ুন: Bikashranjan Bhattacharyya: গরুপাচারে অভিযুক্তরাও আজকাল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে: বিকাশরঞ্জন
সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল, ওয়েটিং লিস্টে থাকা অনেক চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন করছেন। তাঁদের কি সকলকে চাকরি দেওয়া হবে? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওয়েটিং লিস্টে থাকা মানেই চাকরি নিশ্চিত নয়। ওয়েটিং লিস্টে থাকা যে প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন, সেই প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের পিছনে থাকা থাকা অনেকে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট তালিকা মেনে চলা হয়নি।